পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ভিয়েতনাম
পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে টপকে একক দেশ হিসেবে গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে চলে গেছে ভিয়েতনাম। পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। যথারীতি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চীন। শুক্রবার প্রকাশিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা ভিয়েতনাম ২০২০ সালে দুই হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। আর বাংলাদেশ রফতানি করেছে দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ এর আগের বছর বাংলাদেশের রফতানি ছিল তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রফতানি ছিল ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার। রফতানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে অংশীদারিত্বও কমেছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বিশ্বে রফতানিকৃত পোশাকের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে, বাজারে ভিয়েতনামের অংশ ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে ভিয়েতনাম টপকে গেল বাংলাদেশকে।
করোনা মহামারির কারণে গতবছর প্রায় এক মাস পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় পণ্য রফতানি হয়নি। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। মূলত এ কারণে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পেরেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে বাংলাদেশের ক্রয়াদেশ বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ফলে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ দেখছেন না বিশ্লেষকরা। পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
করোনার কারনে এ বছর উৎপাদন পিছিয়ে গেছে