অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া ২০২২

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া ২০২২

ব্যবসার আইডিয়া

Story Highlights
  • অল্প পুঁজিতে নতুন ব্যবসার আইডিয়া করে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন।

আপনি যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান তাহলে আপনি নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়া আপনার জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে। এটি আপনাকে জীবনে দায়িত্বশীল হতে সাহায্য করবে। তাই ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলো জানা জরুরি। নিজেকে তুলে ধরতে নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করুন।

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আজকে আর্টিকেলটিতে। ধনী- গরিব, শিক্ষিত- অশিক্ষিত বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী হতাশায় ভুগছে কিভাবে তার আয়ের পথ খুঁজে নেওয়া যায়। আপনারা যারা বেকারত্ব অবস্থায় জীবনযাপন করছেন মেধা, শ্রম এবং সামান্য মূলধন খাটিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভালো একটি আয়ের পথ খুঁজে নিতে পারেন।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

মানুষ এখন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল প্রায় সকল ক্ষেত্রে তাই মানুষজন এখন অনলাইনের উপর নির্ভরশীল। ব্যবসা খাত এই ক্ষেত্রে বাদ  যাবে কেন? বর্তমান এ প্রচলিত সবচেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সমূহ।

আপনি যে ধরণের ব্যবসা করেন না কেন তা যদি অনলাইন নির্ভর হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে গ্রাহকদের মনে নিজের জায়গা দখল করতে পারবেন। লাভজনক ব্যবসার তালিকায় সবার উপরে অবস্থান কারি একটি ব্যবসা। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ১৫টি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

১. কোচিং ব্যবসা

যে যাই বলুক না কেন, শিক্ষাদানই হচ্ছে বর্তমানে বিনা পুঁজির সবচেয়ে ভালো ব্যবসার আইডিয়া। আমাদের দেশে কোচিং ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। প্রাইভেট টিউটর অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হিমশিম খেতে হয়।

তাই একটি মানসম্মত কোচিং সেন্টারে সাশ্রয়ী খরচে তাহারা পড়তে চান। কোচিং ব্যবসায় সফলতার হার অনেক বেশি। কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে মাসে 30 হাজার থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্তও আয় করা যায়। কোচিং ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে-

  • ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে
  • ভালো পরিবেশের ক্লাসরুম
  • মানসম্মত পরীক্ষার ব্যবস্থা
  • ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন
অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া
ব্যবসার আইডিয়া

২. কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই সাথে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুব সমাজের কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে শিক্ষিত যুব সমাজকে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে, কম্পিউটারকে কেন্দ্র করে ভালো একটি পদ সৃষ্টি করতে পারবে।

কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণে ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজের আগ্রহ রয়েছে। তাই আপনি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ঘর নিতে হবে। কম্পিউটার সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে হবে। বিজ্ঞাপন বা প্রচার করতে হবে।

তাহলে, দেখবেন আপনার কাছে কম্পিউটার শেখার জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। আপনি খুব সহজেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবেন। আপনার ট্রেনিং এ বিষয় রাখবেন-

  • এমএস ওয়ার্ড
  • এমএস এক্সেল
  • এমএস ফক্সপ্রো
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি
  • ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

৩. আমদানি-রপ্তানির ব্যবসার আইডিয়া

আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা বিশ্বজুড়ে প্রচুর লোকেরা করছেন এবং এই ব্যবসা প্রচুর লাভজনক বলে ধরা হয়। এটা এমন এক ধরণের ব্যবসা যেখানে একটি কোম্পানি বা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশী এবং বিদেশী কোম্পানি গুলোর সাথে পণ্যের বেচা কেনা (trade) করে থাকে।

আবার এভাবেও বলা যেতে পারে যে, এই ধরণের ব্যবসাতে কোম্পানি গুলো বাইরের দেশের থেকে পণ্য (products) কিনে সেগুলোকে দেশী কোম্পানি বা ব্যবসায়ী গুলোর কাছে বিক্রি করেন। বাইরের দেশের কোম্পানি বা ম্যানুফ্যাকচারার গুলোর থেকে অনেক কম দামে এক সাথে অনেক পণ্য কিনে তারপর সেগুলোকে দেশের ভেতরে অধিক দামে বিক্রি করে থাকেন। এই ব্যবসাতে অনেক ভারী পরিমানে পণ্যের বেচা কেনা হয়ে থাকে আর তাই এই ব্যবসাতে লাভের পরিমান বেশি।

৪. রেস্টুরেন্ট ব্যবসার আইডিয়া

লোকজন থাকা জায়গাতে ফাস্ট ফুড এর রেস্টুরেন্ট গুলোর ইনকাম দেখলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। রেস্টুরেন্ট ছোট হোক বা বড়, যদি সেখানে খাবার একবার লোকেরা পছন্দ করেছেন, তাহলে সেই রেস্টুরেন্ট এর খাবার খাওয়ার জন্য লোকেরা দূর দূর থেকে এসে থাকেন।

এছাড়া ফাস্ট ফুড বানাতে তেমন বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হয়ে থাকেনা। তাই কম দামে সুস্বাদু জিনিস গুলো বানিয়ে সেগুলোকে অধিক বেশি দামে বিক্রি করলেও লোকেরা সেগুলো কিনে খেয়ে থাকেন। তাই এই বর্তমানের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে আমি Fast Food Restaurant Business কেই বলবো।

আপনি যদি লাভজনক কিছু আশা করে থাকেন  তাহলে, সেটা রেস্টুরেন্টের ব্যবসা হতে পারে।এককালীন কিছু ব্যয় করতে হয় কিন্তু খাদ্যের মান যদি ভালো হয় এবং সেটা কাস্টমারের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয় তাহলে খুব সহজেই লাভের মুখ দেখা যাবে। এই বিজনেস এ কোয়ান্টাটির চেয়ে কোয়ালিটিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হয়ে কারণ কাস্টমারের আত্মতৃপ্তিই এখানে মুখ্য বিষয়।

৫. জুতা ব্যবসার আইডিয়া

মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হচ্ছে জুতা। কেননা জুতা মানুষের অবশ্যক একটি জিনিস। বাইরে বের হওয়ার জন্য আমাদের দরকার এক জোড়া জুতা। তাই এই জুতার ব্যবসা হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা।

জুতার দোকানের জন্য একটি সুন্দর জায়গা বাছাই করতে হবে। দোকানটি অবশ্যই বড় রাস্তার পাশে বা যেখানে প্রচুর লোক সমাগম হয় সে স্থানে হওয়া উচিত।

যেখানেই হোক দোকানটি অবশ্যই গোছানো ও পরিপাটি হতে হবে। জুতা সাজিয়ে রাখার জন্য সেলফ থাকতে হবে। দোকানের ভিতর পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে যাতে ক্রেতা ঘুরে ঘুরে দেখে পণ্য পছন্দ করতে পারে।

৬. টিউটর ব্যবসা

যাহারা শিক্ষিত বেকার আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী যেমনঃ ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটি ইত্যাদি। আপনার এই বিষয়টি পড়ানোর জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বিজ্ঞাপন দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার বিষয়টি পড়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আপনি নিজ বাড়িতেই একটি রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করবেন। হোয়াইট বোর্ড, মার্কার পেন, কিছু উপকরণ বাবদ আপনার সামান্য বিনিয়োগ হবে। শুধুমাত্র আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে  সকালে ও বিকালে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে প্রাইভেট টিউটর দিয়েই আপনি মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

৭. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি

বাংলাদেশে ইউটিউব চ্যানেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে । আপনি একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন । একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে, আপনাকে অবশ্যই সঠিক বিষয় নির্বাচন করতে হবে।

আপনার নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার করতে হবে। যখন আপনার ভিডিওতে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার পাবেন, তখন আপনি আপনার চ্যানেলের অ্যাডসেন্স এ মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া
ইউটিউব চ্যানেল ব্যবসার আইডিয়া

৮. খেলাধুলার সরঞ্জাম দোকান

খেলনার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । ছোট সোনামণিদের আবদার রাখার জন্য বাবা মা খেলনা ক্রয় করে থাকে। যতদিন পৃথিবী থাকবে শিশুদের আগমন ঘটবেই। কাজেই খেলনার চাহিদা কখনোই শেষ হবার নয়। নতুন নতুন খেলনার প্রতি শিশুদের আকর্ষণ অত্যন্ত বেশি । তাই এই ব্যবসাটি দ্রুত শুরু করতে পারেন।

আপনার নিকটবর্তী বাজারে একটি রুমে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী নিয়ে দোকান দিতে পারেন। মোট বিক্রির 25 থেকে 30 শতাংশ মুনাফা হয় ।২/৩ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে এই ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ২০/৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

৯ .মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা

মোবাইল রিচার্জ এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত হলেও, মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা সম্পর্কে অনেকে জানি না। প্রায় প্রতিদিন আমাদের এই মোবাইল রিচার্জের দরকার পড়ে। অল্প কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনি মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং ব্যবসায় লাভ করতে পারেন।

বাংলাদেশ মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা খুব লাভ জনক। অনেক মানুষই এই মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছেন। অত্যন্ত কম খরচে এবং পরিশ্রমে মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা করা যায়। মোবাইল ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে এবং মোবাইল রিচার্জ  চাহিদা ও সেইসাথে বেড়ে চলেছে।

১০. কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা মূল বিষয় হলো, এক গ্রাহকের থেকে জিনিস সংগ্রহ করা এবং তা ঠিকমতো অন্য গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দেওয়া। এই কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজন বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী, যারা এক গ্রাহক থেকে জিনিস সংগ্রহ করবে এবং অন্য গ্রাহকের কাছে ঠিকমতো জিনিস পৌঁছে দিতে পারবে।

আপনি যদি কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায় লাভবান হতে চান তাহলে, আপনাকে একটা সুযোগ্য জায়গায় ব্যবসা শুরু করতে হবে। সব নিয়মকানুন মেনে আপনাকে আপনার ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং কুরিয়ার সার্ভিস ও ডেলিভারির কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে হবে।

১১. কোয়েল পাখির ব্যবসার আইডিয়া

গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া মধ্য, কোয়েল পাখির খামার একটি নতুন আইডিয়া। গ্রামে যারা এখনো বেকার যুবক আছেন, তারা খুব সহজেই অল্প মূলধন নিয়ে কোয়েল পাখি পালন করতে পারেন।

এমনকি, আপনি আপনার বর্তমান পেশায় থেকেও কোয়েল পাখির খামার করতে পারেন। হাঁস-মুরগী মতো ব্যাপক পরিচিত না হলেও কোয়েল পাখি বর্তমানে বাংলাদেশে দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারন অল্প মূল্যে, কম জায়গায় ও অল্প খাদ্যে লাভজনক কোয়েল পালন করা সম্ভব।

কেন আপনি কোয়েল পাখি পালন করবেন

  • এ পাখি আকারের ছোট, তাই সামান্য যায়গাতেই কোয়েল পাখি পালন করা সম্ভব।
  • ছোট হওয়ায় খাদ্য খরচ তুলনামূলকভাবে অন্যান্য পোল্ট্রি খামারের চেয়ে কম।
  • কোয়েল পাখি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মাত্র 6 থেকে 7 সপ্তাহ বয়সে ডিম দেয়।
  • প্রাথমিক খরচ খুব কম, তাই আপনি খুব অল্প মূলধন নিয়ে কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১২. মোবাইল মেরামতের ব্যবসা

একটি মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের গুরুত্ব যে কত বেশি। তা আপনি তখনি বুঝতে পারবেন, যখন আপনার নিজের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি কোনো সময় নষ্ট হবে। আর তখন সেই মানুষ গুলোকে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। যারা মূলত একেবারে গ্রাম অঞ্চলে বাস করে। কারন এই নষ্ট মোবাইল গুলো সার্ভিসিং করানোর জন্য তাদের কে অনেক দুরের শহরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

কিন্তুু এই সমস্যা সহজেই নিরসন হবে, যদি আপনার গ্রামের কাছে কোনো একটি ভালো মানের মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান থাকে। কারন হাতের কাছে যদি কোনো সমস্যার সমাধান করা যায়। তাহলে মানুষ আর কষ্ট করে দুরে যেতে চাইবে না।

তাই আপনিও এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনার গ্রাম থেকেই একটি ভালো মানের মোবাইল সার্ভিসিং এর বিজনেস শুরু করে দিতে পারবেন। আর মোবাইল সার্ভিসিং করার পাশাপাশি আপনি মোবাইলের ফ্ল্যাক্সিলোড, বিকাশ, নগদ এর লেনদেন করার ব্যবসাও করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি গ্রাম থেকে মোবাইল সার্ভিসিং করার ব্যবসা করতে চান ৷ তাহলে সবার আগে আপনাকে ভালো কোনো ট্রেনিং সেন্টার থেকে সার্ভিসিং এর সকল খুটিনাটি সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। তাহলে আপনি এই ব্যবসা থেকে মোটামুটি পর্যায়ের একটা আয় করতে সক্ষম হবেন।

১৩. ফার্মেসী ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমান সময়ে শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই আপনি বাস করেন না কেন। সব জায়গার জন্য উপযুক্ত একটি ব্যবসা হলো ফার্মেসী ব্যবসা। যেখান থেকে আপনি স্বল্প পরিমান ইনভেস্ট করার মাধ্যমে একটা মোটা অংকের প্রফিট আয় করতে সক্ষম হবেন।

কারন আজকের দিনে কিন্তুু ঔষধ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা যেমন মোবাইল চালানোর জন্য ব্যাটারি তে চার্জ করে রাখি।

ঠিক একইভাবে মানুষ এখন তাদের শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্য ওষুধ কে করে নিয়েছে নিত্যদিনের সঙ্গী। অপরদিকে বর্তমান বাজারে সব জিনিসের দামাদামি করা গেলেও আপনি ওষুদের দোকানে গিয়ে কোনো প্রকার দামাদামি করতে পারবেন না।

কারন এখানে আপনাকে ওষুধের যে দাম বলা হবে। আপনাকে সেই দাম দিয়েই ওষুধ কিনে নিতে হবে। তাই আপনি চাইলে খুব কম সময়ের মধ্যে অধিক লাভ আয় করতে পারবেন এই ফার্মেসি ব্যবসা থেকে। তবে যদি আপনি গ্রাম থেকে ফার্মেসি ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনাকে শুরুর দিক থেকে শেষ পর্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

যেমন, আপনি যেখানেই ফার্মেসী ব্যবসা করার চেস্টা করুন না কেন। সবার আগে আপনাকে ড্রাগ লাইসেন্স করতে হবে। কারন ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া আপনি এই ব্যবসাটি কন্টিনিউ করতে পারবেন না। এবং এই ব্যবসা করতে শুরুর দিকে আপনাকে মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে।

১৪. বেকারির ব্যবসা

আমার মতে যারা নতুন হিসেবে কোনো ব্যবসা করার চিন্তা করছেন। তাদের বেকারির ব্যবসা দিয়ে শুরুটা করা উচিত। কারন এখান থেকে আপনি যদি সফলভাবে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

একটি বেকারি তে মূলত বিভিন্ন ধরনের মুখরোচর খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন, বিস্কুট, চানাচুর, কেক ইত্যাদি। এবং এই জাতীয় খাবার এর চাহিদা যে কতটা বেশি। তা আমার থেকে আপনার ভালো জানার কথা। কারন আমাদের দেশে ভাতের চাহিদার পাশাপাশি এসব খাবারের চাহিদা কিন্তুু অনেক গুন বেশি রয়েছে।

আর এই চাহিদার যোগান দিতে আপনিও একটি বেকারি তৈরি করতে পারবেন। যেখানে আপনি নিজের বেকারি থেকেই এসব প্রয়োজনীয় মুখরোচক খাবার গুলো তৈরি করতে পারেন। এবং সেগুলো কে বাজার জাত করে ভালো পরিমান টাকা লাভ করে নিতে পারবেন।

কিন্তুু এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে আপনাকে শুরুতে মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এছাড়াও আপনি যেখানে বেকারি টি তৈরি করবেন। সেখানে বড়সড় একটা জায়গার প্রয়োজন হবে।

এর পাশাপাশি আপনার বেকারি তে তৈরি করা খাবার গুলো বাজার জাত করার জন্য দক্ষ মার্কেটিং করার মতো জনবল থাকতে হবে। তাহলে আপনি গ্রামে বেকারি ব্যবসা, গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া করে প্রফিট আয় করতে পারবেন।

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া
বেকারির ব্যবসার আইডিয়া

১৫. বীজ এর দোকান ব্যবসা

আমরা যেসব শাক সবজি খাই। সেগুলো কিন্তুু সরাসরি জমি থেকে উৎপাদন করা হয় না। বরং প্রথমে সেগুলোর বীজকে মাটিতে ভূপাতিত করতে হয়। এরপর সেখান থেকে চারা গজায়, তারপর কিন্তুু সেগুলো খাবার তৈরিতে প্রস্তুত হয়। তাই এ থেকে সহজেই অনুমান করে নেয়া যাবে যে, শাক সবজি উৎপাদন করার জন্য বীজ ছাড়া কল্পনা করা অসম্ভব।

আর এই অসম্ভব কে সম্ভব করার জন্য আপনি সরাসরি বীজ এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যেখানে আপনি আপনার দোকানে ভালো মানের বীজ সংরক্ষন করতে পারলে অনেক দুর থেকে মানুষ আপনার বীজ কেনার জন্য আসবে। আর আপনি সেই বীজ গুলো বিক্রি করে অনেক বেশি পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

এইগুলো পড়তে পারেনঃ-

ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে শেষকথা

যাই হোক, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কথা দৃঢ় মনোবল এবং ঝুঁকি নেয়ার মানসিকতা। সৎভাবে ব্যবসা করলে পরকালেও উত্তম পুরষ্কার পাওয়া যাবে। অনেকে চিন্তা করে কোথায় কি ব্যবসা করা যায়? তাই তাদের উত্তর দেয়ার জন্য কিছু ব্যবসার আইডিয়া লিখলাম।

যদি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে লিখা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করবেন। এছাড়া আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে অবশই নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

মাইনউদ্দিন সোহেল

আমি বর্তমানে একজন কন্টেন্ট রাইটার ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার। আমি (২০১৪-১৫) সেশনে এইচএসসি ও (২০১৭-১৮) সেশনে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি। পরবর্তীতে শখের বশে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শিখি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button